জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন ২০২৫ এ ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ ঘোরতর সফল হয়েছে। ২৫টি কেন্দ্রীয় পদের মধ্যে ২১টি পদে জয়ী হয় শিবির সমর্থিত প্যানেল। সাধারণ সম্পাদক, সহকারী সাধারণ সম্পাদক ও নারী-সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে তারা দাপট দেখিয়েছে।
অপরদিকে, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও প্রগতিশীল শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের পক্ষে অভিযোগ এসেছে ভোট প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব ও অব্যবস্থাপনার বিষয়ে। বিশেষ করে কিছু ভোটকেন্দ্রে দেরিতে ভোট শুরু হওয়া, ব্যালট পেপারে ত্রুটি, ভোটারদের আঙুলে কালির দাগ না দেয়া বা ভিন্নভাবে দেওয়া এবং পোলিং এজেন্টদের বাধাপ্রবেশের ঘটনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থা কমিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ/ছাত্রদল‑সমর্থিত প্যানেলের অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও ঐক্যহীনতার কারণে তারা নির্বাচনে শক্তভাবে লড়তে পারেনি। অন্যদিকে, ছাত্রশিবিরের পক্ষে প্রচারণা ছিল দৃশ্যমান ও সংগঠিত, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রভাব ফেলেছে।
ফলাফল থেকে স্পষ্ট হচ্ছে যে শুধুমাত্র ঐতিহ্যবাহী রাজনীতি নয়, নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা স্বচ্ছ ও ন্যায্য প্রক্রিয়ার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। ভবিষ্যতের নির্বাচনগুলোতে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে: সংগঠন শক্তিশালী করা, প্রচারণায় দৃশ্যমানতা বাড়ানো, ভোটার ও এজেন্ট পর্যায়ের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা এবং আস্থা অর্জন করা।
এই পরাজয় কেবল ভোট হারের প্রতিফলন নয়, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক আস্থা ও সংগঠন হিসেবে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন