Top News

“বন্ধ হচ্ছে লাইফগার্ড সেবা, পর্যটকদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে কক্সবাজার সৈকতে”

 ক্সবাজার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ — টহবিলের সংকটের কারণে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে “সি-সেফ/SeaSafe লাইফগার্ড” সেবার কার্যক্রম ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হতে পারে।

সেবা পরিচালনা করছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউট (RNLI), মোনাকো ফাউন্ডেশন ও সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (CIPRB)। 

গত প্রায় ১২ বছর ধরে এই সেবাটি কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সৈকতে প্রদান করা হচ্ছিল। 

এই সময়ে লাইফগার্ডরা প্রায় ৮০৭ জন পর্যটককে স্রোতের টানে ভেসে যাওয়া অবস্থায় ‍উদ্ধার করেছেন। তবে একই সময়ে ৬৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে রিস্কি পরিস্থিতিতে। সেবা বন্ধ হয়ে গেলে ২৭ জন লাইফগার্ড ও মোট ৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ হারাতে পারেন। 

পর্যটক ও সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা হ্রাস: সৈকতে স্রোতের টানে, ঢেউয়ের ধাক্কায় বিপদে পড়লে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার কর্মী থাকবে না।

মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা: ইতোমধ্যে সেবা থাকলেও বছর শুরু হতে এই পর্যন্ত ১১ জন মারা গেছেন— সেবা বন্ধ হলে এই ধারা ত্বরান্বিত হতে পারে।

পর্যটন খাতের উপর প্রভাব: নিরাপত্তাহীনতার কারণে দর্শনার্থীদের আগ্রহ কমতে পারে, হোটেল-মোটেল ব্যবসা ও স্থানীয় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

জীবিকাহীনতার সমস্যা: লাইফগার্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্মীরা বেকার হয়ে পড়বেন, পরিবারের আয়স्रोत বন্ধ হবে। 

তবে থেকে গেছে বিকল্প ও প্রস্তুতির পথ

জেলা প্রশাসন বলেছে, হোটেলগুলোর মাধ্যমে লাইফগার্ড সেবা চালু রাখার বিষয়ে কথা চলছে। অর্থাৎ হোটেল মালিকদের দিয়ে এ কাজ সংগঠিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সরকারের পর্যটন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানো হয়েছে; তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে এই সেবার জন্য নতুন বাজেট বা পুনঃবিন্যাসের উদ্যোগ। 

  1. নিরাপত্তা নির্দেশিকা কড়া করা
    সৈকতে “রেড ফ্ল্যাগ” জোন, সতর্ক সংকেত, লাইফজ্যাকেট ব্যবহার, ও স্থানীয় গাইডের নির্দেশনা মেনে চলার ব্যবস্থা বাড়ানো।

  2. অস্থায়ী উদ্ধার টিম গঠন
    হোটেল মালিক, পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও স্থানীয় সরকার যৌথভাবে অল্প-সংখ্যক অভিজ্ঞ লাইফগার্ড নিয়োগ দিতে পারে।

  3. অর্থায়নের উৎস বাড়ানো
      • সরকারিভাবে বাজেট বরাদ্দ করা।
      • পর্যটন ফি, সেফটি চার্জ ইত্যাদির মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ।
      • দাতাদের সঙ্গে আলোচনা, কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) প্রকল্প হিসেবে সহায়তা নেয়া।

  4. জনসচেতনতা বাড়ানো
    সৈকতে নামার আগে সতর্কতা, সাগরের অবস্থান, ঝুঁকি সম্পর্কে পর্যটক ও স্থানীয়দের শিক্ষা দেওয়া হওয়া উচিত।

“লাইফগার্ড সেবা বন্ধ” ঘোষণা শুধু একটি সংবাদ নয় — মানুষের প্রাণের সাথে সম্পর্কিত বিষয়। সেবা বন্ধ হলে শুধু আতঙ্ক নয়, বাস্তব বিপদ বাড়বে।政府 এবং স্থানীয় জনrowse উভয়কেই উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে পর্যটক ও সাধারণ জনগণ সুরক্ষিত থাকতে পারে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন