খাগড়াছড়িতে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা জেলায়। ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে অর্ধদিবস সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে স্থানীয় জনগণ ও বিভিন্ন সংগঠন। এতে সাজেকগামী পর্যটকসহ বহু যানবাহন সড়কে আটকা পড়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় তিনজন যুবক। পরে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরিবারের পক্ষ থেকে রাতেই থানায় মামলা করা হয়। তিনজনকে আসামি করা হলেও এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি দুইজন পলাতক রয়েছে।
সকালে থেকেই খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা-সাজেক সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। এ কারণে সাজেক ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকসহ অসংখ্য যাত্রী ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকা পড়েন। অনেকে ভোগান্তির কথা তুলে ধরে দ্রুত সমাধান চান
অবরোধকারীরা বলেন,
ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
কঠোর শাস্তি দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধের সাহস না করে।
নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে।
একজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের বোনেরা যদি নিরাপদ না থাকে, তবে পাহাড়ে শান্তি আসবে কীভাবে?”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাজেক ও খাগড়াছড়ি শহরে পর্যটক ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ টহল জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, “একজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে, বাকিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন