ভাষণে তিনি বলেন, "অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাবো, যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করেন।
প্রধান উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, এবারের নির্বাচন যেন আনন্দ-উৎসব, শান্তি-শৃঙ্খলা, ভোটার উপস্থিতি, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকে। এজন্য আগামীকাল থেকে মানসিক প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শুরু করতে হবে।
তিনি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে বলেন, "অর্থনৈতিক দিক থেকে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ যে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে তার বড় কারণ রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অবদান। তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নারী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে তিনি বলেন, "নারী ভোটাররা যেন দেশের সর্বত্র নির্দ্বিধায় আনন্দ-উৎসাহ সহকারে ভোট দিতে পারে, এটা নিশ্চিত করতে চাই। এবার যেন কেন্দ্রে কেন্দ্রে নারী ভোটারদের ঢল নামে— আমরা সেই লক্ষ্যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, "দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার কারণে গত ১৫ বছর ধরে নাগরিকরা ভোট দিতে পারেনি। এবারের নির্বাচনে আমরা আমাদের বকেয়া আনন্দসহ মহা আনন্দে ভোট দিতে চাই। এবারের নির্বাচনে জীবনে প্রথমবার ভোট দিতে যাবে, এরকম ভোটাররা নানা উৎসবের মধ্য দিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবে, তাদের এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য।
নির্বাচনের দিনকে তিনি ঈদের উৎসবের মতো করতে চান এবং সকল নাগরিককে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানান।
নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতি নিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন