কোটা আন্দোলনে সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিচার চায় ডিইউজে-বিএফইউজে

 কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশব্যাপী চারজন সাংবাদিক নিহত এবং ২১৮ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। নিহত ও আহত সাংবাদিকদের বিচারের দাবিতে অতিদ্রুত স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দায়ীদের বিচার করার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নেতারা।  



মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ডিইউজের উদ্যোগে আয়োজিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে দেশব্যাপী নৈরাজ্য, নাশকতা ও হামলায় সাংবাদিক নিহত-আহত এবং সংবাদ মাধ্যমের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান তারা।

সমাবেশে ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে যে সাংবাদিকরা আহত এবং নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং রাষ্ট্র যাতে তাদের দায়িত্ব নেয় সেজন্য আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। যারা আহত-নিহত হয়েছেন, আমরা এ ঘটনাগুলোর তীব্র নিন্দা জানাই।

তিনি আরও বলেন, নিহতদের পরিবারকে রাষ্ট্র সব ধরনের সাহায্য করতে হবে। যারা আহত হয়েছেন তারা সুস্থ হওয়া পর্যন্ত সাহায্য করতে হবে। সাংবাদিক পরিবারগুলোর যেকোনো একজন সদস্যকে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। প্রত্যেকটি সংবাদকর্মীর দায়িত্ব তাদের মালিককে গ্রহণ করতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিয়তা দিতে হবে। একদিনের জন্য হলেও নাশকতাকারীদের সংবাদ বর্জনের জন্য তিনি সংবাদ মাধ্যম সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান তিনি।

বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, বার বার সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটতেই থাকে। সেজন্য আমাদের একটাই দাবি সেটি হলো স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দায়ীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। মিডিয়ার মালিকপক্ষকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, যারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে তাদের সংবাদ সংগ্রহ করা বন্ধ করুন।

বিএফইউজের মহাসচিব দ্বীপ আজাদ বলেন, প্রতিবাদ করতে করতে আমরা ক্লান্ত হয়ে গেলেও আক্রমণকারীরা ক্লান্ত হয় না। এর কারণ হলো সাংবাদিক হত্যার বিচার হয় না। আমাদের চারজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ২১৮ জন সাংবাদিক পুরো বাংলাদেশে আহত হয়েছেন। সাংবাদিকদের ৮টি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। ৩৮টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সাংবাদিক হত্যা এবং নির্যাতনের বিচার করতে হবে। আমরা নিহত ও আহত সাংবাদিকদের তালিকা করছি।

সমাবেশে সাংবাদিকসহ যারা আহত ও নিহত হয়েছেন তাদের স্মরণে সাংবাদিক নেতারা শোক পালন করেন। এ সময় সাংবাদিক নেতারা দাঁড়িয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করেন এবং দোয়া ও মোনাজাত করেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, আহত সাংবাদিক মুফদি আহমেদ ও মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন